ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট বা ডকুমেন্ট হচ্ছে আপনার হিসাবের লেনদেনের বিবরণ সম্বলিত একটা ডকুমেন্ট, যেখানে আপনার নাম ঠিকানা সহ লেনদেনের পরিমাণ থাকবে এবং সাথে থাকবে যাদের কাছ থেকে আপনি সেবা কিনেছেন তাদের নাম।
ক্রেডিট কার্ড ডকুমেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা অনেক, বিশেষ করে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে; যেমন Neteller ও Skrill ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে।
Payoneer ক্রেডিট কার্ড থাকলে আপনি সহজেই ক্রেডিট কার্ড ডকুমেন্ট বা স্টেটমেন্ট নিতে পারবেন। মজার বিষয় হচ্ছে, ক্রেডিট কার্ড না থাকলেও ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট নেওয়া যাবে! চলুন জেনে নিই ক্রেডিট কার্ড ডকুমেন্ট পাওয়ার দুইটি সহজ উপায়।
Payoneer ক্রেডিট কার্ড ডকুমেন্ট
আপনার যদি Payoneer কার্ড থাকে যেটা দিয়ে আপনি লেনদেন করেছেন, তাহলে সহজেই কার্ড ডকুমেন্ট নিতে পারবেন। আপনার Payoneer অ্যাকাউন্ট এ লগইন করে Activity > Transactions এ গিয়ে “Monthly statement” এ ক্লিক করুন। তারপর আপনি যে কার্ড দিয়ে যে মাসে লেনদেন করেছেন তা বাছাই করে PDF ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করে নিন।
এই PDF ফাইলটাই ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট বা ডকুমেন্ট, যেটা আপনি অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের সময় “Credit Card Statement” হিসেবে দিতে পারবেন। এই ফাইল দেখতে নিচের ছবির মত, যেখানে নাম ঠিকানা সহ খরচের বিস্তারিত থাকবে।
Payoneer কার্ড নেই বা ক্রেডিট কার্ড ডকুমেন্ট নিতে পারছেন না? তাহলেও কোন সমস্যা নেই! আমার দেয়া PDF ফাইল এডিট করে আপনার নামে করে নিলেই হবে, আমি নিজে এই PDF ফাইল এডিট করে অনেক জনের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করেছি!
ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট PDF ফাইল
প্রথমে ক্রেডিট কার্ড ডকুমেন্টের এই PDF ফাইল ডাউনলোড করে নিন। তারপর নিচের ছবিতে লাল দাগ দেয়া লেখাগুলো ইংরেজিতে নিচের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশোধন করুন, PDF এডিটর হিসেবে Phantom, Sejda ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
এখানে Full Name এর স্থলে আপনার আইডি কার্ডের নাম ইংরেজিতে, Street Address এর স্থলে ঠিকানা (বর্তমান ঠিকানা দিলেই সবচেয়ে ভাল), CityName এর স্থলে ঠিকানা অনুযায়ী জেলা বা বিভাগের নাম, CountryName এর স্থলে দেশের নাম, ZipCode এর স্থলে ঠিকানা অনুযায়ী পোস্ট কোড এবং মোবাইল নাম্বারের স্থলে দেশের কোড সহ (বাংলাদেশ হলে ৮৮) আপনার নাম্বার হবে।
আর নামের ডান পাশের কলামে “Issuing Date” খেয়াল রাখবেন, কারণ বেশিরভাগ সময় ৯০ দিনের বেশি পুরনো ডকুমেন্ট নেয়া হয় না, সেক্ষেত্রে ৯০ দিনের ভিতরের একটি তারিখ (মাস/তারিখ/বছর হিসাবে) বসাতে হবে। হলুদ দাগ দেয়া তারিখও চাইলে আপনি পরিবর্তন করতে পারেন, তবে শুধু তারিখ পরিবর্তন করবেন, মাস বা বছর পরিবর্তনের ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নেই।
উপরের যাবতীয় সংশোধন শেষ করে ফাইল সেভ করলেই আপনার কাজ শেষ। এই সংশোধন করা ডকুমেন্ট আপনি যেখানে দরকার সেখানে কাজে লাগাতে পারবেন। আশা করি ঠিকমত এডিট করতে পারবেন, কঠিন মনে হলেও জানলে মাত্র এক মিনিটের কাজ! আর যদি না পারেন বা কোন সাহায্য লাগে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ।